এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তাওহিদ এখন হৃদয়কাড়া ব্যাটিং করছেন বিদেশি লিগেও। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে জাফনা কিংসের হয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চেনালেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যখন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে জাফনা কিংস, তখনই হাল ধরেন তাওহিদ।
এরপরের ইতিহাস তো সবার জানা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বোলার নাসিম শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, রমেশ মেন্ডিস কিংবা মাথিসা পাতিরানাদেরকে দিশেহারা করে তোলেন তিনি। ৩৭ বলে পূরণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। বিদেশী লিগে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন তিনি।
শেষে ৩৯ বলে ৫৪ রান করে আউট হয়ে গেলেন। ততক্ষণে দলকে নিরাপদ জায়গাতে রেখে আসতেও সক্ষম হন। শেষ পর্যন্ত জাফনা কিংসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান। এর জবাব দিতে নেমে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় কলম্বো স্ট্রাইকার্স। নিরোশান ডিকভেলা সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৫৮ রান করেন।
কিন্তু বাকিরা আর দাঁড়াতেই পারেননি। ১৯.৪ ওভারে অলআউট হয় ১৫২ রানে। প্রথম ম্যাচেই ২১ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় জাফনা কিংস। এমন এক অসাধারণ জয়ে নিঃসন্দেহে অনন্য ভূমিকা ছিল তাওহিদ হৃদয়ের। কিন্তু ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার তার হাতে উঠলো না। উঠলো লঙ্কান স্থানীয় ক্রিকেটার বিজয়াকান্ত বিয়াসকান্ত-এর হাতে।
প্রায় ২২ বছর বয়সী এই লেগব্রেক বোলার উইকেট নিয়েছেন ২টি। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়েছেন তিনি। এই হলো তার কৃতিত্ব। যে দুটি উইকেট নিলেন, সেগুলোও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। অর্থ্যাৎ এমন উইকেটও নয়, যেটা আউট হওয়ার ফলে ম্যাচের চিত্র পুরোপুরি পাল্টে গেছে।
এদিকে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা নুয়ানিদু ফার্নান্দোকে রিটার্ন ক্যাচে ফেরান তিনি। ১৪ বলে ১৭ রান করেছিলেন ফার্নান্দো। এছাড়া আউট করেন বোলার নাসিম শাহকে। তবুও স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিজয়কান্তকেই ম্যাচ সেরার জন্য বেছে নেয়া হলো। অথচ, তাওহিদ হৃদয় যদি ওই সময় দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে ব্যাট করে না যেতেন, তাহলে জাফনা কিংসের পরাজয় ছিল নিশ্চিত।